প্রকাশিত: ০৪/০৫/২০১৮ ১০:১৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:১৮ এএম
লাল টি শার্ট পরিহিত ইমরান

নিউজ ডেস্ক::
বিত্তশালী হবার পরেও লোভে পড়ে নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে ইয়াবা ব্যবসায় জড়ায় মো. ইমরানুল হক ও তাইজুল খান নামের দুই তরুণ।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পোস্তগোলা ও পুরান ঢাকা থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ৮০ হাজার পিচ ইয়াবাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. ইমরানুল হক, তাইজুল খান, শহীদুল ও আইরিন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন পোস্তগোলা থেকে ৬০ হাজার পিচ ইয়াবা সহ ইমরানুল ও তাইজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরেক অভিযানে পুরান ঢাকা থেকে ২০ হাজার পিচ ইয়াবা সহ শহীদুল ও আইরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আশি হাজার পিচ ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি ইউনিট ক্রেতা সেজে এই বৃহৎ চালানটি জব্দ করে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই বিক্রেতাদের সঙ্গে চালানটির বিষয়ে কথা চালাচ্ছিল আমাদের ইউনিটের সদস্যরা।

‘‘পরে শুক্রবার দুপুরে পোস্তগোলা ব্রিজে চালান দিতে আসলে তাইজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে চালানের টাকা বুঝে নিতে নিজের ফোন থেকে ইমরানুলকে ফোন দেয় তাইজুল। টাকা নিতে এসে ইমরানুলও ধরা পড়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইউনিটের পাতানো ফাঁদে।’’প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরানুল ও তাইজুল জানায়, বিত্তশালী হবার পরও লোভে পড়ে তারা ইয়াবা ব্যবসায় জড়ায়। তারা দুজনেই বন্ধু, বেসরকারী নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে তারা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়েছে। তাদের কাছ থেকে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে যা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি।

তৌফিক উদ্দিন বলেন, নিজবাড়ি টেকনাফ হওয়ায় ইমরানুল সেখান থেকে ইয়াবা নিয়ে আসত। ইমরানুল ও তাইজুল কক্সবাজারে ইয়াবা সংক্রান্ত ব্যবসার তালিকাভুক্ত আসামি।রাজধানী ইয়াবা ও নেশা দ্রব্যাদিতে সয়লাব হচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন: আমরা এখন নিজেদের স্ট্যাট্রেজি পরিবর্তন করেছি, আমাদের এখন রিকভারি বেশি, এ বিষয়ে আমরা দক্ষতা অর্জন করেছি। আগে আমরা অল্প ইয়াবা জব্দ করতাম এখন আমরা মূল হোতাদের ধরতে সক্ষম হচ্ছি।

তিনি বলেন, ইয়াবা ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত আছে, রাজধানীতে এখন ইয়াবার দাম বেড়ে যাচ্ছে, দিন দিন ইয়াবা দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছে।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রো উপঅঞ্চলের গুলশান সার্কেলের পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক শ্যামপুর থানায় বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

পাঠকের মতামত